,

ঘন কুয়াশার ফাঁদে পড়ে বাড়ছে দুর্ঘটনা, মহাসড়কে মৃত্যুর মিছিল

নিজস্ব প্রতিনিধি : ঘন কুয়াশার কারণে ঢাকা সিলেট মহাসড়কের মাধবপুর উপজেলার কয়েকটি স্পটে আশংকাজনক ভাবে বেড়েছে দূর্ঘটনা। এ-সব সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ও নিহতের তালিকাও দীর্ঘ হচ্ছে। গত এক মাসে মাধবপুর উপজেলায় ঢাকা সিলেট মহাসড়কে দুর্ঘটনা প্রাণ হারিয়েছে ১৩ জন এবং আহত হয়েছে ১৭ জন। গত ১৫ ই ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার বেজুড়ায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে হানিফ পরিবহনের একটি বাসের ধাক্কায় সিএনজি অটোরিকশা চালক নয়ন মিয়া (৩৮) ও অটোরিক্সার আরোহী ফটিক মিয়া (৪০) নামের ২ ব্যক্তি ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। এ দূর্ঘটনায় অটোরিক্সার অপর তিন আরোহী আহত হন। গেল বছরের ১৮ই ডিসেম্বর রবিবার দুটি সিএনজি অটোরিকশার মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষের ইয়ারুল খান (৬০) নামে এক বৃদ্ধ নিহত হয়। ২২ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা সিলেট মহাসড়কের বেজুড়া নামক স্থানে দ্রুতগামী পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় সিএনজি চালিত অটোরিক্সা উল্টে ১ জন নিহত ও ৩ জন আহত হয়।
২৭ ডিসেম্বর মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টায় ঢাকা সিলেট মহাসড়কের মুক্তিযোদ্ধা চত্ত্বর এলাকায় কাভার্ড ভ্যানের চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই ভাই উপজেলার জগদীশপুর ইউনিয়নের বেজুড়া গ্রামের আপ্তাব হোসেনের ছেলে সোহাগ মিয়া (১৭) ও ইমাম হোসেনের ছেলে শুভ মিয়া (১৮) নিহত হন। ২৯শে ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার রাত ৩টায় উপজেলার নারায়ণপুর এলাকায় ট্রাকের ধাক্কায় হাঁস ভর্তি পিকআপ উল্টে রহমত উল্লাহ (৫০) নামের এক হাঁসের খামারী ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। এ ঘটনায় আব্দুল হাই নামে এক ব্যাক্তি গুরুতর আহত হন।
২রা জানুয়ারি সোমবার সকালে বেজুরা নামক স্থানে ঢাকা সিলেট মহাসড়কে পুলিশের পিকআপ ভ্যান ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে মাধবপুর সার্কেলের এএসপি নির্মলেন্দু চক্রবর্তী ও তার দেহরক্ষী টিটু বর্মণ (২৩) সহ মোট ৫ জন আহত হন। ৭ জানুয়ারি শনিবার ভোররাতে মালয়েশিয়া প্রবাসী এক ব্যাক্তিকে নিয়ে ফেরার পথে উপজেলার শাহপুরের ম্যাটাডোর কোম্পানীর নিকট ঢাকা সিলেট মহাসড়কে নোহা গাড়ী ও দুটি ট্রাক এবং কাভার্ড ভ্যানের চতুর্মূখী সংঘর্ষে একই পরিবারের ৪ জন সহ ৫ জন নিহত হয়। এ দূর্ঘটনায় আহত হয় আরও ২ জন।
সর্বশেষ ১২ই জানুয়ারি বৃহস্পতিবার ভোরবেলায় শাহজিবাজার এলাকায় হবিগঞ্জ গ্যাস ফিল্ড ও দরগা গেইটের মধ্যবর্তী স্থানে ঘন কুয়াশার কারণে দেখতে না পেয়ে একটি নোহা মাইক্রোবাস একটি ডায়না ট্রাককে ধাক্কা দিলে দূর্ঘটনায় আব্দুল মালেক (৩৫) নামে এক ব্যাক্তি নিহত হয়। এ ঘটনায় আরও তিন জন আহত হয়।
গাড়ির চালকেরা জানান, বিকেল থেকে কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ে যায় মহাসড়ক সহ পুরো এলাকা। যত সময় যায় বৃদ্ধি পায় কুয়াশার ঘনত্ব। নোহা মাইক্রোবাস চালক মালেক মিয়া জানান, বিকেল থেকে কুয়াশা পড়া শুরু হয় পরদিন দুপুরের আগে পুরোপুরি কুয়াশা কাটে না। অনেক সময় সারাদিন রুদ্র উঠে না কুয়াশা থাকে। রাতে অনেক সময় দশহাত দুরেও কিছু দেখা যায় না। তখন গাড়ি চালালেও বিপদ আবার রাস্তার পাশে গাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখলেও অন্য গাড়ি এসে মেরে দিতে পারে।শুধু পেটের দায়ে এমন ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চালাতে হয়।


     এই বিভাগের আরো খবর